Skip to main content

খাঁচায় বন্দী টিয়া পাখি: একটি সবুজ সৌন্দর্যের কাহিনী


 



টিয়া পাখি—একটি চঞ্চল, বুদ্ধিমান এবং সুন্দর কণ্ঠের পাখি। কিন্তু এই সুন্দর প্রাণীটি যদি খাঁচায় বন্দী থাকে, তাহলে তার মুক্ত আত্মাটির কষ্ট হয়তো আমাদের অজানাই থেকে যায়। এই ছবিতে দেখা গেছে একটি সবুজ রঙের টিয়া পাখি লোহার খাঁচায় বসে আছে, যার চোখে যেন বন্দিত্বের বিষণ্ণতা।


টিয়া পাখির পরিচয়


টিয়া পাখি (Parakeet) মূলত দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকার অনেক অঞ্চলে পাওয়া যায়। এরা:


সবুজ শরীর


লাল ঠোঁট


গলায় কালো রিং (বিশেষ করে পুরুষ পাখির ক্ষেত্রে)



ছবির পাখিটি কোন প্রজাতির?


এই ছবির পাখিটি সম্ভবত Indian Ringneck Parakeet, যাকে বাংলায় "রিংনেক টিয়া" বলা হয়। এরা মানুষের ভাষাও অনুকরণ করতে পারে।


খাঁচায় টিয়া পাখির জীবন


খাঁচায় বন্দী পাখি:


মুক্তভাবে উড়তে পারে না


প্রাকৃতিক খাবার পায় না


মানসিকভাবে বিষণ্ণ হতে পারে



টিয়া পাখির বৈশিষ্ট্য


বুদ্ধিমান ও শেখার ক্ষমতা রাখে 


মানুষের কণ্ঠ অনুকরণ করতে পারে 


দীর্ঘ আয়ু থাকে—১৫ থেকে ২৫ বছর 



পোষা টিয়া পাখির যত্ন


যদি আপনি টিয়া পাখি পোষেন, তাহলে মনে রাখতে হবে:


পর্যাপ্ত খোলা জায়গা দিতে হবে


টাটকা ফল ও শাকসবজি খাওয়াতে হবে


প্রতিদিন কথা বলার সুযোগ দিতে হবে



টিয়া পাখিকে মুক্ত রাখা উচিত কেন?


পাখি প্রকৃতির সন্তান, তার প্রাকৃতিক অধিকার হলো মুক্তভাবে আকাশে উড়তে পারা। আমরা যদি ভালোবাসি, তাহলে তাদের স্বাধীনতাকেও ভালোবাসতে হবে।



---

টিয়া পাখি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা


টিয়া পাখি কী কথা বলতে পারে?


হ্যাঁ, কিছু টিয়া পাখি মানুষের শব্দ অনুকরণ করতে পারে।


পোষা টিয়া কত বছর বাঁচে?


১৫ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত বাঁচে।


টিয়া পাখিকে খাঁচায় রাখা ঠিক কিনা?


নৈতিকভাবে ঠিক নয়, যদি বিকল্প ব্যবস্থা থাকে মুক্তভাবে রাখার।


টিয়ার প্রিয় খাবার কী?


বীজ, সূর্যমুখী দানা, আপেল, কলা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি।


টিয়া পাখির প্রজাতি কয়টি?


বিশ্বব্যাপী প্রায় ১১৫টির বেশি প্রজাতি রয়েছে।



---


> আরও পাখি ও প্রকৃতি বিষয়ক ব্লগ পড়ুন এখানে





---

Comments

Popular posts from this blog

ঘন সবুজ গাছপালার গুরুত্ব ও উপকারিতা

 প্রাকৃতিক পরিবেশে গাছপালার গুরুত্ব সবুজ গাছপালা মানেই আমাদের জীবনের অক্সিজেন। শহর হোক বা গ্রাম, সবখানে ঘন সবুজ গাছপালা আমাদের পরিবেশকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে তোলে। পরিবেশ রক্ষায় গাছের ভূমিকা বায়ু বিশুদ্ধ রাখে গাছপালা কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন ছাড়ে, যা বায়ুকে শুদ্ধ করে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ঘন গাছপালা উষ্ণতা কমিয়ে দেয়, যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সহায়ক। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ঘন গাছপালা পাখি ও প্রাণীর আশ্রয়স্থল সবুজ বনভূমি নানা রকম পাখি ও বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল। জলচক্র বজায় রাখতে সহায়ক গাছের শিকড় মাটিতে জল সংরক্ষণে সহায়তা করে, যা ভূগর্ভস্থ জলস্তর বজায় রাখে। মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যে গাছের প্রভাব চোখের আরাম ও মানসিক প্রশান্তি সবুজ গাছপালা দেখলে মন ভালো হয়ে যায়, উদ্বেগ কমে এবং কর্মক্ষমতা বাড়ে। হাঁটার জন্য উপযোগী পরিবেশ ঘন ছায়াযুক্ত গাছপালা পথচারীদের জন্য আরামদায়ক পথ তৈরি করে। শহরে গাছপালার ভূমিকা দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর শহুরে বায়ুদূষণ কমাতে রাস্তার পাশে গাছ লাগানো অত্যন্ত জরুরি। তাপদাহ হ্রাসে গাছের প্রভাব ঘন বৃক্ষরাজি শহরের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমায়। গাছ...

প্লেটে সাজানো রসালো কমলার টুকরো | স্বাস্থ্য ও স্বাদের মেলবন্ধন

  ভূমিকা   কমলা , প্রকৃতির এক উপহার, যা স্বাদ, সুগন্ধ ও পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। আজকের ছবিতে আমরা দেখছি সুন্দর করে কাটা রসালো কমলার টুকরো, যা শুধু খাবার নয়, বরং এক ধরনের ফুড আর্ট। --- কমলার পুষ্টিগুণ   কমলা হলো ভিটামিন সি-তে ভরপুর একটি ফল , যা আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মূল উপকারিতা   ভিটামিন C সরবরাহ করে ত্বক উজ্জ্বল রাখে হজমে সাহায্য করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে --- কমলার কাটিং ও উপস্থাপন কৌশল   এই ছবির মতো কাটা কমলা দেখতে আকর্ষণীয় এবং পরিবেশনের জন্য উপযুক্ত । কাটিং টিপস   মাঝখান থেকে স্লাইস করে কাটা ত্রিভুজাকৃতি টুকরো তৈরি সুন্দর প্লেট বেছে নেওয়া --- কমলা দিয়ে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস তৈরি   এই টুকরোগুলো দিয়ে আপনি স্মুদি, জুস কিংবা ফলের সালাদ সহজেই তৈরি করতে পারেন। রেসিপির উদাহরণ  কমলা ও দইয়ের সালাদ হানি অরেঞ্জ স্মুদি লেমন-মিন্ট অরেঞ্জ ড্রিংক --- ফুড ফটোগ্রাফিতে কমলার গুরুত্ব  কমলার রঙ ও টেক্সচার ফুড ফটোগ্রাফিতে প্রাণ যোগ করে। এই ছবির বৈশিষ্ট্য  কমলার প্রাকৃতিক জেলি ভাব আলোতে উজ্জ্বল রঙ প্লেটের ফুলের ডিজাইনের সাথে মিল --- কমলা সংরক্ষণের উ...

আফ্রিকার বনে রাজকীয় হাতির বিচরণ | প্রকৃতি ও প্রাণীর অপূর্ব মিলন

  ভূমিকা   প্রাকৃতিক পরিবেশে বন্যপ্রাণীর স্বাভাবিক জীবনযাপন আমাদের প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই ছবিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি বিশাল আফ্রিকান হাতি , যার উপস্থিতি প্রমাণ করে প্রকৃতির কতটা মহিমাময় রূপ রয়েছে। --- আফ্রিকান হাতির পরিচয়   আফ্রিকান হাতি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থলচর প্রাণী । এদের গড় উচ্চতা ও ওজন বিশাল এবং এদের বুদ্ধিমত্তা অসাধারণ। হাতির বৈশিষ্ট্য   দৈর্ঘ্যে ১০ ফুটের বেশি ওজন প্রায় ৫,০০০-৬,০০০ কেজি বড় কান ও লম্বা দাঁত সামাজিক জীব --- প্রাকৃতিক পরিবেশ ও হাতি  এই ছবির হাতিটি সম্ভবত সাভানার বনভূমিতে রয়েছে, যেখানে ঘাস ও গাছপালার মধ্যে তারা স্বচ্ছন্দে বিচরণ করে। এদের আবাসস্থল  আফ্রিকার দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বন জলাধারের আশেপাশে --- হাতির আচরণ ও সামাজিকতা  হাতিরা অত্যন্ত সামাজিক প্রাণী । তারা দলবদ্ধভাবে চলে এবং নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য আবেগ ও শব্দ ব্যবহার করে। আচরণের বৈশিষ্ট্য   কুঁচকে যাওয়া কান দিয়ে তাপ নিয়ন্ত্রণ শুঁড় দিয়ে খাওয়া, পানি পান দলগত চলাফেরা মৃত হাতিকে স্মরণ --- প্রকৃতি সংরক্ষণ ও হাতির গুরুত্ব...